চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার খোসালপাড়ায় অবস্থিত মনোয়ারের চায়ের
দোকান খেকে ইভটিজিং করার অপরাধে ১১ জন কিশোর ও যুবককে আটক করে গোমস্তাপুর
থানা পুলিশ ও ডিএসবি সদস্যরা। পরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে আনা হলে
আদালত প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করে।
গোমস্তপুর থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান, গোমস্তাপুর ইউনিয়নের খোসাল
পাড়ায় মনোয়ারের চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে আব্দুল হামিদ বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ইভটিজিং করে আসছিলো কিছু কিশোর-যুবক। অভিযোগের
ভিত্তিতে পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম এর নির্দেশনায়
পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করে।
পরে তাদের ভ্রামমান আদালতে হাজির করলে ভ্রামমান আদালতের বিচারক নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাব রায়হান আসামীদের অর্থদন্ড প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা ওই এলাকার শঅহজাহানের ছেলে ওবায়দুল (৩১), জালাল উদ্দীনের
ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৩), আনোয়ার হোসেনের ছেলে মনোয়ার হোসনে (২২),
আলমগীরের ছেলে রাজু (২২), এহসানের ছেলে রায়হান (১৮), টিয়ার ছেলে ইসমাইল
(১৯), শুকুমারের ছেলে নয়ন মন্ডল (২১), ইয়াসিনের ছেলে শহীদুল্লাহ (১৮),
মুখলেসুরের ছেলে পিন্টু (১৮), আব্দুস সাত্তারের ছেলে আওয়াল (১৫), ফারুকের
ছেলে মিজান (১৭)।
উল্লেখ্য, জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম এর আগে
ইভটিজিং এর জন্য সদরের সোনার মোড়ের একটি দোকান ও শিবগঞ্জ ইসরাইল মোড়ে
একটি দোকান সাময়ীক বন্ধ করে দিয়েছেন। ইভটিজিং করে কেউ রেহায় পাবে না বলেও
জাানয়েছেন পুলিশ সুপার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম আরো
জানান, কোন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।
পুলিশের ভাষায় সেটিকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা বলা হয়। মুলত কিশোররা
ইভটিজিংয়ের মত সামাজিক অপরাধে জড়ায়। তিনি বলেন, কিশোররা সংঘবদ্ধ হওয়ার
সুযোগ পেলেই চুরি, ছিনতাই, পকেটমার, মাদক সেবন, ইভ টিজিংসহ বিভিন্ন
অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এসব আস্তানা বন্ধ করতে পারলে ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধ
নিয়ন্ত্রন সম্ভব বলে জানান পুলিশ সুপার।[কপোত নবী, ২৮-০৭-১৯]
Leave a Reply